মীর আব্দুল আলীম. কলামিস্ট, সমাজ গবেষক

মীর আব্দুল আলীম একজন জীবনমূখী লেখক এবং সমাজ সংস্কৃতি গবেষক। সমাজ এবং সমাজের মানুষ নিয়েই বেশি ভাবেন। আর সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার প্রতিফলন তাঁর প্রতিটি গান, প্রবন্ধ, নিবন্ধে স্পষ্ট হয়। মানবকল্যাণে তৃপ্তি পান বেশি। তিনি চারপাশের অন্ধকার শব্দচয়ন আর অক্ষরের আলোয় ঢেকে দিতে চান। সাংবাদিক হিসেবে তার দূরদর্শিতা বিচক্ষণতা ও উদারমন-মানসিকতার প্রমাণ তিনি বারবার দিয়েছেন। বাংলাদেশ ভারতসহ বিশে^র বিভিন্ন মিডিযায় তিনি সবসময় বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীাবিত এই লেখক বাংলাদেশের নতুনধারার আজকের কাগজ, দৈনিক জনকন্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ৩৬ বছর সরাসরি সাংবাদিকতা করেছেন। দৈনিক ইত্তেফাক, ইনকিলাব, জনকন্ঠ, যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সংবাদ, ভোরের কাগজ, সমকাল, যায়যায়দিন, ডেইলি নিউ নেশন, ডেইলি অবজারভার, ভারতের দি হান্টসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ উপ-সম্পাদকীয় গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমেরিকার ঠিকানাসহ দেশের বাইরের পত্রিকাতেও তাঁর লেখা গুরুত্বের সাথে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর প্রকাশিত বহু গ্রন্থ বাজারে রয়েছে। বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলা, কলকাতা বইমেলা, আগরতলা বইমেলায় এবং ভারতের হুগলী থেকে বিভিন্ন প্রকাশনা তাঁর বই প্রকাম করেছে। ভারতের আনন্দ প্রকাশ তার একাধিক বই প্রকাশ করেছে। মীর আব্দুল আলীম একজ সত্য-সন্ধানী মানুষ। প্রায় প্রতিদিন প্রথম শ্রেণীর কোন না কোন জাতীয় দৈনিকে কোনপ্রকার পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কলাম, কবিতা, গান লিখছেন। রাষ্ট্র ও সমাজের সংকট নিয়ে ভাবেন তিনি; সংকট উত্তরণের পথ সন্ধান করেন। একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে দেশের চলমান ঘটনা প্রবাহের প্রতি নিবিড় দৃষ্টি রাখেন। কাজের মাঝেই নিজেকে খুঁজে ফেরেন। শত ব্যস্ততা ও পরিশ্রমেও ক্লান্তির বহিঃপ্রকাশ নেই। সব কিছুতেই তৃপ্ত তিনি। সুখেও হাসেন, দুখেও হাসতে পারেন। পরোয়া করেন না রক্তচক্ষু, নেই মৃত্যুভয়ও। স্বাধীনচেতা এবং প্রচন্ড সাহসী আশাবাদী এবং পজিটিভ মানুষ। সেই ছাত্র জীবন থেকে লিখছেন। সাংবাদিকতায় তিন যুগ পার করা এই লেখক একে একে সাহিত্যের সব শাখাতেই প্রতিভার নিদর্শন রাখছেন। আলোচিত জনকন্ঠ রিপোর্ট সংকলন যৌথ গ্রন্থের একজন গর্বিত লেখক তিনি। মীর আলীম দীর্ঘদিন যাবত দেশব্যাপী শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা করে আসছেন। র্বতমানে তনিি “কলামস্টি ফোরাম অব বাংলাদশে” এর সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় প্রসে ক্লাবরে সদস্য।। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় কলাম লেখা সমাজ সচেতনতামূলক নাটক, মঞ্চ নাটক, পথ নাটক মঞ্চস্থ্য করাসহ সংগীতের মানোন্নয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণা মঞ্জুরী বিভাগের ধামাইল সংগীত, নিত্য নিয়ে পরিচালিত গবেষনায় দীর্ঘদিন ধরে সিলেট এবং সুনামগঞ্জে কাজ করছেন। বাউল সংগীত ও অন্যান্য সংগীতের মানোন্নয়ন, সংগীতের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা এবং সংগীত রচনায় মানবিক মূল্যবোধ তৈরির জন্য কাজ করছেন তিনি। এ যাবৎ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত এবং বাংলাদেশসহ নিজের লেখা একক ২৭টি বইসহ যৌথ বই রয়েছে ৩০ এর অধিক। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব, আন্তর্জাতিক রোটারি ক্লাব, শান্তিনিকেতন পদকসহ দেশ-বিদেশী অসংখ্য পদক লাভ করেছেন মীর আব্দুল আলীম। কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে কবিতা, গীতি কবিতা, গানসহ সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজ সচেতনতামূলক তাঁর লেখা বাউল সংগীতসহ অন্যান্য অসংখ্য গান ভারত এবং বাংলাদেশের শিল্পীরা গেয়েছেন। তিনি যাই করেন না কেন তাতে জনকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণর জড়িত থাকে। সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার প্রতিফলন তাঁর গান, প্রবন্ধ, নিবন্ধে স্পষ্ট হয়। সেই ৩০ বছর অগে ১৯৯২ সালে প্রবন্ধ ফিচার এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অবদান রাখার জন্য প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এটাই সাংবাদিকতায় তার প্রথম পুর¯কার। নিজ জেলা নারায়ণঞ্জের সামসুদ্দোহা পুরোস্কারটা তিনি বেশ সাদরেই নিয়ে ছিলেন। এরপর বহু সম্মাননা পদক পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পদকও জুটেছে তার স্বল্পজীবনে। ভারতের শান্তি নিকেতন ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন তাকে বাংলাদেশের গুণী কলাম লেখক হিসাবে সম্মাননা পদক প্রদান করেছে। কুরিয়া ট্রেড সেন্টারের আমন্ত্রণে কুরিয়াসহ ৩৭টি দেশ ঘুরেছেন জ্ঞানার্জনের জন্য। দেশের বাইরে সাহিত্য আসরে অতিথি, প্রধান অতিথি হয়ে গেছেন বহুবার। লায়ন্স ক্লাবের সাথে যুক্ত আছেন ২৬ বছর ধরে। কোভিডকালনি সময়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, অসংখ্য গাছ লাগিয়েছেন। যেখানেই যান গাছ লাগান। এমনকি বিয়েসাদির অনুষ্ঠানেও গাছ নিয়ে হাজির হন তিনি। এসব গুণের কারণে ২০২১ সালে লায়ন্সক্লাব ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট পদক লাভ করেন তিনি। পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ কলামিস্টর পদকও। ভারতের হুগলীতে এবং আগরতলায় পৃথক অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মাননা পদক প্রদান করে সেখানকার কবি সাহিত্যিক পরিষদ। তিনি একজন গীতিকার এবং নাট্যকারও। সচেতনতামূলক এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক, গান রচনা করে সুনাাম কুড়িয়েছেন। মীর আব্দুল আলীম লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ভিক্টোরির প্রেসিডেন্ট, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫/অ-১ এর জোন চেয়ারপারসন, আল-রাফি হাসপাতাল লিমিটেডে এর চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন। ১৯৭০ সালের ০২ জুলাইয়ে রাজধানী ঢাকার অতি কাছের নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের সমভ্রান্ত মুসলীম পরিবারে জন্ম নেয়া এই লেখক। তিনি কৃষিবিদ আলহাজ্ব মীর তাজউদ্দিন আহমে এবং রাহাতুন নেছার একমাত্র পুত্র। তাঁর দাদার মীর সুবেদ আলী ছিলেন একজন পাট ব্যবসায়ী এবং নানা এখলাছ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর কর্ণধার মোঃ এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রাজধানী ঢাকায় বসবাসরত মীর আলীমের জীবনের সহযাত্রী নাসরিন সুলতানা। নাসরীন ইউরোপিয় ইউনিয়নের মা ও শিশুদের জন্য ফ্্ির স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত লাইফ এইড হাসপাতাল লিঃ এর চেয়ারম্যান এবং প্রতিষ্ঠাতা। দুই ছেলে ডাঃ তানজিল এহসান,হাসান ইনতিসার এবং মেয়ে ডাঃ আফরুন নেসা। ডাঃ তানজিল এহসান এবং স্ত্রী ডাঃ আফরুন নেসা মুনা বর্তমানে ইংলেন্ডে ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস ঘঐঝ’এর সাথে যুক্ত। বর্তমানে ডা: তানজীল লন্ডনের কুইন এ্যালিণজাবেদ হাসপাতালে এবং আফরুন নেশসা মুনা লন্ডনের ব্রুমফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত আছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চ ডিগ্রী এবং পেশাগত কাজে নিয়োজিত রয়েছেন তাঁরা। ছোট ছেলে হাসান ইনতিসার রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি’তে সফতার পর এখন কম্পিউটার এন্ড সফটওয়ার সাইন্সে পড়াশোনা করেছেন। সাংবাদিকতা মীর আলীমের রক্তে মিশে থাকলেও তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা। দেশকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। তাই দেশ-মানুষ-মাটির কল্যাণে মীর আলীম নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।